আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এক স্কুলছাত্রী ও এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দুজন আত্মহত্যা করে। রাতে লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।
বুধবার সকালে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মৃতরা হলেন- স্কুলছাত্রী নাদিয়া আক্তার (১৪) ও গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী জান্নাতুল ফেরদৌসি (২৫)। নাদিয়া আক্তার শাখারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।
জানা গেছে, মেয়ে নাদিয়াকে বাড়িতে রেখে মাঠে কাজে যান মা রাহিমা বেগম। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন তিনি। পরে মেয়েকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান তিনি। মেয়ের এ অবস্থা দেখে মা রাহিমা ওড়না কেটে তাকে নিচে নামিয়ে আনেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিকালে একই গ্রামের সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী জান্নাতুল ফেরদৌসি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্কুলছাত্রীর মা রাহিমা বেগম বলেন, ‘কেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তা আমি জানি না?’
গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসির বড় ভাই রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘কীভাবে আমার বোন মারা গেছেন তা জানি না। খবর পেয়ে বোনের বাড়িতে এসে শুনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
জান্নাতুলের দেবর সাকিল হাওলাদার বলেন, ‘ভাবির মানসিক সমস্যা ছিল। মঙ্গলবার গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ’
আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
Leave a Reply